AF news24

Every moment in search of truth/সত্যের খোঁজে প্রতি মুহূর্ত

ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য হারাচ্ছে পাথর ছিনতাই

ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য হারাচ্ছে পাথর ছিনতাই

প্রকৃতির অপার এক সৌন্দর্যের নাম হলো সিলেটের জাফলন। বাংলাদেশের পর্যটন এলাকার ভিতরে এক দৃষ্টিনন্দন অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা। সিলেটের ভোলাগঞ্জের যেন সাদা পাথরের একখণ্ড পাথরের রাজ্য। যা পর্যটকদের বিনোদনের মাধ্যম ছিল ।কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের পুরো এলাকাটাকে মরুভূমির বালুর চরের মত করে ফেলে রেখে চলে গেছে। লুটতরাজের রাজ্যে বাংলাদেশ যেন দিন দিন হিংসা থেকে হিংসাত্মক হয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসন এতদিন কোথায় ছিল পাথর তো নেওয়া হয়েগেছে

সিলেটে ভোলাগঞ্জে সাদা পাথরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুমাত্র একখণ্ড বালুর চর। চিহ্নিত করা যাচ্ছেনা যে ত্রটি একটি সাদা পাথরের বিস্তীর্ণ মাঠ ছিল। যাতে ত্রখন কোন অস্তিত্ব নেই সাদা পাথরের। প্রশাসনের লোকজন এতদিন কোথায় ছিল জনমনে ত্রই প্রশ্ন। এত হাজার কোটি টাকার পাথর লুটপাট হলো যে। অথচ প্রশাসনের কেউ এই লুটপাট বন্ধ করতে চেষ্টা চালায়নি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যখন বিষয়টি মানুষের নজরে আসে। তখন প্রশাসন এবং উপদেষ্টা মন্ডলীরা পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে অর্থাৎ পাথর লুটপাট বন্ধের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখা যায়। অথচ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ যদি প্রশাসন নিয়ে রাখতো। তবে এই পাথর লুটপাট বন্ধ হয়ে যেতো এতে প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

সিলেটের পাথর আমদানি ও ক্ষতি

বাংলাদেশের পাথর আমদানি এবং রপ্তানির বিষয়ে এক প্রতিবেদনে জানা যায়। বাংলাদেশে পাথর উৎপাদিত হয় প্রায় ৬% আর আমদানি করতে হয় বাকী ৯৪% প্রতিবছর আমদানি করা হতো ত্রই পাথর। তবে কি এমন কারণে ২০২৫ সালে এই পাথর আমদানি করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে ত্রই ব্যর্থার সু স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে বলে জানান দেশের সাধারণ মানুষ। পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন। বাংলাদেশে যেখানে ৯৪% পাথর আমরা আমদানি করতে পারি তাহলে বাকি ৬% কেন আমরা আমদানি করতে পারলাম না। যে পরিমাণ সিলেটে পাথর লুটতরাজ হয়েছে তাতে বাংলাদেশের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাথর তুলতে সর্বদলীয় ঐক্য

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর তুলতে এখন তারা সর্বদলীয় ঐক্য জোট করেছে। সিলেটে পাথর উত্তোলন ও লুটতরাজে থামানোর জন্য প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটক সবাই যখন করতে চাইলো। তখন পাথর তোলা সর্বদলীয় ঐক্য জোট নামে একটি জোট গঠন করেন তারা। বিভিন্নভাবে আসল এবং পর্যটকদের উপর হামলা চালায় এই সময় দুই উপদেষ্টা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে রাখে।

  • দুই উপদেষ্টা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদেরকে জিম্মি করে রাখে পাথর লুটতরাজকারীরা। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো স্পষ্ট করেন উপদেষ্টা মন্ডলীরা পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ান আহসান। তিনি আরো জানান সিলেটের যে সৌন্দর্য ছিল তা নতুন করে আরো বেগবান করা যেতো। সেটি না করে বরং সিলেটের সৌন্দর্যকে বিলীন করে দিয়েছে এই চক্র।
  • নতুন প্রজন্ম এই ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য আর কখনো উপলব্ধি করতে পারবে না বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। এই সাথে তিনি আরো জানান থাইল্যান্ডের পর্যটক এলাকা গুলো দেখতে নজর কেড়ে নেয়। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের সিলেটের ভোলাগঞ্জ আমরা নতুন করে সাজাতে পারতাম। পর্যটকদের জন্য আরও দৃষ্টি নজর করতে পারতাম। কিন্তু এতে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছি।
  • পাথর লুটতরাজ শেষে প্রশাসন খুব সজাগ হয়েছে।এখন সম্পন্ন ভোলাগঞ্জ একটি বালুর মরুভূমি পরিণত হয়েছে। আর তখন আমাদের প্রশাসকেরা বাধা দেওয়ার হস্তক্ষেপ এর কাজে খুব একটিভিটির সাথে কাজ করছে। এতদিন এই প্রশাসনের লোকজন কোথায় ছিল। কোথায় ছিল বিজিবি পুলিশ এবং উদ্বোধন কর্মকর্তা। অথচ এই বিষয়ে এর কাছে কোন জবাব নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *