AF news24

Every moment in search of truth/সত্যের খোঁজে প্রতি মুহূর্ত

ঈদুল মিলাদুন্নবীতে করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদুল মিলাদুন্নবীতে করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদুল মিলাদুন্নবী

ঈদুল মিলাদুন্নবী মুসলমানদের ঈমানী প্রেরণায় বৃদ্ধি করে। প্রতিবছর আমাদের মাঝে ফিরে আসে। সারা পৃথিবীর মুসলমান একই সাথে এদিনকে উদযাপন করে থাকে। এতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান এবং আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

কত খ্রিস্টাব্দে রাসূল সাল্লাল্লাম এর জন্মগ্রহণ করেন

৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার মা আমেনার কোলে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে আগমন করেন। পৃথিবীর বুকে যখন সূর্য উদীয়মান হয়। তখনই আমাদের প্রিয় নবী সকল অন্ধকারকে দূরভিত করতে। পুরো জাহানকে আলোকিত করে। তিনি পৃথিবীতে আগমন করেন।

পুরো পৃথিবী যখন ছিল অন্ধকারে আচ্ছন্ন গেরা। ঠিক তখনই আমাদের ভুবনে আল্লাহ তা’আলা এক মহান মানবকে। পৃথিবীর সকল অন্ধকার দূর করতে প্রেরণ করেন। তিনি হলেন আখেরি জামানার পয়গম্বর মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের দিন কে কেউ কেউ ঈদুল মিলাদুন্নবী নামে আখ্যায়িত করেছেন। ঈদ শব্দের অর্থ বিশেষ দিন আনন্দের দিন। মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ জম্ম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের দিন।এক কথায় মিলাদুন্নবী হচ্ছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন উপলক্ষে। যে আনন্দ করা হয় তাকে মিলাদুন্নবী বলা হয়।

অনেকেই আছে ঈদুল মিলাদুন্নবীকে কেন্দ্র করে অনেক বাড়াবাড়ি এবং ছাড়াছাড়ি করে। একদিকে এই দিন যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন। তেমনিভাবে একই দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিনে আবার ওফাত করেন। তাই এই দিনে যেমনিভাবে আনন্দ করার দিন। তেমনিভাবে শোক পালনেরও দিন। এই দিন অনেকে শোক পালনের কথা ভুলে গিয়ে শুধু আনন্দ মিছিল নিয়ে মাতিয়ে রাখে।

এই দিনে করণীয়

রাসূল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষে কিছু বিষয়ে করা যায়

  • এই দিনে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা।
  • এই দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা।
  • এই দিনে বেশী বেশীদান ছদকা করা।
  • এই দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত হিসেবে রোজা রাখা।

এই দিনে বর্জনীয়

যেহেতু একইদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেহেতু কিছু কাজ বর্জনীয়

  • জন্ম এবং মৃত্যু দিন সেহেতু এই দিনে অধিক পরিমাণ আনন্দ মিছিল না করা।
  • ঐদিন কে কেন্দ্র করে খুব ভালো মানের খাবার খাওয়া সুন্নার পরিপন্থী।
  • ঐদিন কে কেন্দ্র করে নতুন জামা কাপড় পরিধান করা সুন্নার পরিপন্থী।
  • রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন কে ঈদুল মিলাদুন নামে আখ্যায়িত দেওয়া অধিকাংশ আলেম এর মতে সুন্নার পরিপন্থী

যেমনি এই দিন আমাদের জন্য আনন্দের। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের জন্য শোকের এই দিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদর্শে। আমরা তাকে অনুকরণ অনুসরণ করবো সবসময় প্রতিটি কাজে।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ গ্রহণ করতে। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে সূরাতুল আহযাবে এরশাদ করেন।

তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে তো রাসূলুল্লাহ্র মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (আল আহ্‌যাব – ২১)

কোরআনের অন্য একটি সূরায়। সূরাতুল আল ইমরানে আল্লাহ তা’আলা রাসূলের আদেশ মানার সম্পর্কে এরশাদ করেন।

তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য কর তোমরা যদি রাসূলের আনুগত্য কর তবে তোমরা ক্ষমাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা আল ইমরান- ১৩২)

      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *