AF news24

Every moment in search of truth/সত্যের খোঁজে প্রতি মুহূর্ত

চীনে এক বিরল চুম্বক

দুইশ বিমান ওড়ানো বন্ধ রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র

চীনের বিরল একপ্রকার চুম্বক

চীনের বিরল একপ্রকার চুম্বক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হতো তবে কিছুদিন যাবত চীন এই বিরল প্রকার চুম্মক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরই প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দেন। যে তারা যদি তাদের এই বিরল চুমুক রপ্তানি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ২০০% পর্যন্ত শুষ্ক আরব করবে বলে সিদ্ধান্ত নে। যদি এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তবে অর্থনীতি বৃহৎ দুই দেশে এক বাণিজিক বিপর্যয় ঘটবে দুই দেশে।

চীনের উপর ২০০ শতাংশ শুষ্ক আরোপ করব যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের এর সাথে এক বৈঠকের পর। সাংবাদিক সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান। তারা আমাদেরকে চুম্বক দিতেই হবে। যদি তারা চুমুক দিতে অস্বীকার করে। তাহলে আমরা ২০০ শতাংশ শুষ্ক আরোপ করব। ত্রতেও যদি কাজ না হয় তবে আমরা অন্য কিছু করব। চীনের উপর যুক্তরাষ্ট্র এক বিশেষ চাপের হাতিয়ার দেখিয়েছেন বিমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে।

  • সাংবাদিকদের আরও জানান আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে boying বিমানের যন্ত্রাংশ না দেয়ায়। তাদের ২০০ বিমান চলাচল করতে পারিনি। কারণ তারা আমাদেরকে ওই বিরল চুমুক দেয়নি।
  • ত্রক বাণিজ্য আলোচনায় বিমান শিল্পের গুরুত্বকে তুলে ধরে বলেছেন। বোয়িং বর্তমানে চীনের কাছে ৫০০ পর্যন্ত বিমান বিক্রির একটি বড় চুক্তির পথে রয়েছে।
  • চীনের বিরল ধাতব চুম্বক রপ্তানি ৬৬০ শতাংশ বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রেঅ জুন মাসে ও জুলাইতেও এরি ধারা অব্যাহত ছিল। এটি ছিলো ট্রাম্পের সতর্কবার্তার আগে।

চীন চুমুক সরবরাহ ৯০ শতাংশ দখল রেখেছে

চীন বিশ্বের এই উপকরণ সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছে। তারা এই বিরল চুম্বক উৎপাদন ও পরিশোধন প্রক্রিয়া ৯০ শতাংশ দখল রেখেছে। এরই কারণে বেইজিং বড় ধরনের কৌশল তথা সুবিধা পাচ্ছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন প্রকার গাড়ি ইলেকট্রনিক্স ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্প। এইমাত্র একটি উপকরণের উপর নির্ভরশীল করে আছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে বেইজিং ভিত্তিক চিন্তক হেনরি ওয়াং এবং সেন্ট্রাল ফর চায়না এন্ড গ্লোবালাইজেশন এর প্রেসিডেন্ট ধোঁকাবাজি হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি আরো বলেন শুষ্ক বা শাস্তি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময় বড় বড় কথা বলেই থাকেন। কিন্তু আমরা এতটা দুর্বল না যে তাদের এসব কথার মধ্যে আমরা ডুবে যাব।

ওয়াং আরো বলেন বিদ্যমান চুক্তি বাস্তবায়ন কতটা আন্তরিকভাবে তারা কাজ করছে। সেটি হবে প্রকৃতি অগ্রগতি মাপকাঠি।

বর্তমানে একটি অস্থায়ী বাণিজ্যিক সমঝোতা কথা উল্লেখ রয়েছে। এই সমঝোতায় চীনের এই বিরল ধাতুর রপ্তানির উপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা। এবং কিছু কিছু মার্কিন প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার এর এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। উক্ত চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের পণ্যের উপর শুষ্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫৫ শতাংশ ও চীনের ৩২ শতাংশ নিচে নামিয়ে আনার কথা হয়েছে।

এই চুক্তি নভেম্বরের মাঝামাঝি দিকে শেষ হওয়ার কথা এটি আরো বৃহৎ হবে কিনা এর ভাগ্য নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ধারাবাহিক আলোচনার উপর।


লি চেংগাং যিনি চীনের জ্যেষ্ঠ বাণিজ্যিক আলোচক এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেনিসন গিয়ারসন অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের জন্য এই সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *