নারী কোটা বাতিল হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালয় নারীদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ একটি কোটা ছিল। যা নতুন বিধিমালয় বর্তমানে বাতিল করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে নতুন করে শুধুমাত্র সাত শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এবং একই সঙ্গে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে আলাদা করে নতুন পদে সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিধিমালা ২০২৫ নামে অবহিত হবে
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ নামে অবহিত হবে। এবং অতি অবিলম্বে এ বিষয়টি কার্যকর হবে।
মেধাবৃত্তিক নিয়োগ দান ৯৩শতাংশ
- এই নতুন বিধিমালার অধীনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি নিয়োগযোগ্য ৯৩শতাংশ পদে শুধুমাত্র মেধাবৃত্তিক নিয়োগ দান হবে। বাকি ৭ শতাংশ কোটা হিসেবে রাখা হয়েছে। তাহলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ প্রার্থীদের এক শতাংশ। তবে কোটার আওতায় যদি না পাওয়া যায়। সেই শূন্য পদগুলো মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পূরণ করা হবে।
- এ প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে। প্রতিটি নিয়োগ উপজেলা ও ক্ষেত্রবিশেষ থানা ভিত্তিক হবে। পাশাপাশি সরকারি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ থাকছে। যাদের বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী থাকবে তাদের জন্য 20 শতাংশ। এবং অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য 80 শতাংশ পদ সংরক্ষিত থাকবে। তবে দুইটি নতুন পথ সৃষ্টি হয় তাহলে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে।
এই প্রসঙ্গে ২০১৯ সালে বিধিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা ছিল। আর বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ ছিল শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য। এবং বাকী ২০% ছিল পোষ্য কোটা। তবে নতুন বিধিমালা কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ রহিত হয়ে যাবে বলে বিবেচিত হবে।
Leave a Reply