AF news24

Every moment in search of truth/সত্যের খোঁজে প্রতি মুহূর্ত

কি কি কারণে ব্রেইন ধ্বংস হয় এবং প্রতিকার

ব্রেইন ধ্বংসের কারণ এবং প্রতিকার

প্রতিনিয়ত আমরা ব্রেইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। কিন্তু আমাদের ব্রেইনে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। ব্রেইন দিয়ে আমরা প্রতিদিনের জীবন যাপনের জন্য কতইনা চিন্তা করি। কিন্তু আমরা কি কখনো ব্রেইন নিয়ে চিন্তা করে দেখেছি।

ব্রেইন ত্রর দাম কত

আমরা কখনো আমাদের ব্রেনের মূল্য কত সেটাকে আমরা কখনো কল্পনা করতে পেরেছি। আসলে না আমরা ব্রেন দিয়ে যাবতীয় সবকিছু করলেও ব্রেন সম্পর্কে আমরা কখনো চিন্তা করে দেখি নাই। আল্লাহ তায়ালা কত বড় একটি নেয়ামত আমাদের দান করেছেন। তিনি যে চিন্তাশক্তি দিয়েছেন তা কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে এই চিন্তা শক্তি আমরা কিনতে পারবো না। অথচ আল্লাহ তাআলা বিনা পয়সায় আমাদেরকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দামের একটি চিন্তাশক্তি নামক ব্রেইন দান করেছেন।

কি কি কারণে ব্রেইন ধ্বংস হয়

ব্রেইন আমাদের জীবনে খুব মূল্যবান একটি সম্পদ। যা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকি আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে। কিন্তু সেটি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া না জানার কারণে আমরা এই মূল্যবান সম্পদকে প্রতিদিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছি।

  • অধিক পরিমাণ নেগেটিভ চিন্তা
  • প্রতিদিন জীবনযাত্রায় নিয়ম কানুন না মেনে চলা
  • অতিরক্ত সময় ব্যয় করা
  • মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করা
  • ঘুমানোর সময় ঠিক না রাখা
  • খাবারের সময় ঠিক না রাখা

এইসব উদাসীনতার কারণেই আমাদের ব্রেইন প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দিকে পতিত হচ্ছে।

তিনটি জিনিস ব্রেইনকে ধ্বংস করে দেয়

  • ব্রেন ধ্বংস হওয়ার প্রধানত তিনটি কারণ রয়েছে
  • এক/ ধৈর্য হারা হয়ে যাওয়া
  • দুই/ অল্পতে খুব রেগে যাওয়া
  • তিন/অনিয়মিত জীবনযাত্রা
কি ভাবে ব্রেইন ধ্বংস হওয় থেকে প্রতিকার করতে পারি

আমাদের ব্রেইনকে আমরা কিভাবে ধ্বংস হওয়া থেকে প্রতিকার করতে পারিখুব অল্প কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে আমরা আমাদের ব্রেইনকে সুস্থ রাখতে পারি


৥আরলি ঘুমানো: অর্থাৎ ইসলামিক জীবন ব্যবস্থায় যেভাবে ঘুমানোর কথা আল্লাহ তাআলা এবং তার হাবিবের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে। ঠিক ওইভাবে আমাদের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এশারের নামাজের পরে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং মোবাইল ফোন যত সম্ভব দূরে রাখতে হবে।

৥আরলি ঘুম থেকে ওঠা: অর্থাৎ সকালবেলায় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়তে হবে এবং ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় বসবে সেটা হতে পারে দুই থেকে পাঁচ মিনিট

৥ধৈর্য অভাব ADSD : অর্থাৎ আমাদের দৈনিক চলার পথে নানা কারণে আমরা ধৈর্য হারা হয়ে যায় এটি না করে বরং আমাদের রাগের সময় আমাদের শান্ত থাকতে হবে ধৈর্যশীল হতে হবে।

৥পর্যাপ্ত ঘুম: অর্থাৎ দিনে বেস্ট সময়টা ঘুমানোর জন্য নির্ধারিত করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো সর্বনিম্ন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে

৥ঘুমানোর সময়: ঘুমের বেস্ট সময়টি হচ্ছে রাত 9 টা থেকে ভোর রাত ৩টা পর্যন্ত এই সময়টিকে সাইন্টিক সেরা ঘুমের সেরা সময় হিসেবে নির্ণয় করেছেন।

৥মোবাইল ফোন ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে: অধিক সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ব্রেইনে প্রচুর পরিমাণ চাপ পড়ে তাই এই বিষয়ে লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *